ঢাকায় আফসানা হত্যার প্রতিবাদ সভায় ছাত্রলীগের হামলা

তানভীর হাসান তানু, ঠাকুরগাঁও: মিরপুরের সাইক ইন্সিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজির স্থাপত্যের বিভাগের শিার্থী আফসানা ফেরদৌস (২৪)কে তেজগাঁও কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আফসানার পরিবারের প থেকে এই অভিযোগ করা হয়।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি আফসানাকে তেজগাঁও থানার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিন হত্যা করেছে। তার সাথে আফসানার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
তিনি আরো বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে তেজগাঁও থানার ছাত্র ইউনিয়ন আফসানা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করলে সেখানে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে।
আফসানার ভাই ফজলে রাব্বি বলেন, আমার বোনের সাথে তেজগাঁও কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল সেই আফসানাকে হত্যা করেছে। কারণ, কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে।
তিনি বলেন, গত শনিবার থেকে রবিনের পরিবার ও বন্ধুদের অনেকেই আমাদেরকে ফোনে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া গত ১৩ আগস্টের পর থেকে রবিনের ৪টি মোবাইল নাম্বারের সব কটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ শিকদার শামীম হোসেন বলেন, আফসানা ফেরদৌস হত্যার ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা ফজলুল হক তদন্ত করছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী পদপে গ্রহণ করা হবে।
ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র লেকচারার ড. এলাহী তৌফিক বলেন, গত শনিবার (১৩ আগস্ট ২০১৬) রাতে অপরিচিত মোবাইল থেকে আফসানার মায়ের কাছে জানানো হয়, আফসানার লাশ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ রাখা আছে। এরপর আফসানার মা ঠাকুরগাঁ থেকে আত্মীয়স্বজনদের বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে আফসানার মামা ও অন্যান্য স্বজনেরা উর্ধ্বশ্বাসে ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যায়। কিন্তু আফসানার লাশ নেই সেখানে।
ইতিমধ্যে অপর একটি অপরিচিত মোবাইল থেকে এবার জানানো হয়, আফসানার লাশ মিরপুরের আল-হেলাল হাসপাতালে। সকলে ছুটে যায় আল-হেলাল হাসপাতালে।
হাসপাতাল কর্তৃপ জানান, এ নামে একটি লাশ কাফরুল থানায়। এরপর কাফরুল থানায় পৌঁছানোর পর আফসানার ছবি দেখালে থানায় ডিউটিরত পুলিশ জানায় এমন চেহারার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। রাত তিনটায় ঢাকা মেডিকেল মর্গে আফসানার লাশ শনাক্ত করে ওর মামা এবং আত্মীয়রা।
রবিবার আফসানার ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁয়ের রুহিয়ায় তার লাশ দাফন করা হয়েছে। ওর মা বাবা সেখানেই থাকেন।
তিনি বলেন, যারা লাশ দেখেছে, প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা মেয়েটিকে ধর্ষণের পর রশির মতো কোন কিছু দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন।
আল-হেলাল হাসপাতাল সূত্রে যা জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে দুইজন যুবক সিএনজি নিয়ে হাসপাতালের সামনে আসে। এ সময় তারা জরুরি বিভাগে রোগী ভর্তির জন্য স্ট্রেচার নিয়ে আসতে বলে। হাসপাতালের লোকজন রোগীকে স্ট্রেচারে তুলে ভিতরে নেয়ার সময় যুবকেরা সিএনজির ভাড়া মিটিয়ে ভেতরে আসছে বলে পরে আর কেউ আসেনি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর হাসপাতালে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। এ সময় মেয়েটির মৃতদেহের গলার নিচের দিকে গভীর দাগ দেখা যায়। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে হাসপাতাল কর্তৃপ কাফরুল থানাকে জানায়।
- ঠাকুরগাঁওয়ের গরীবের ডাক্তারের গল্প
- জীবনে প্রথম যখন সেক্স করি, সানি লিওন
- ঢাকায় আফসানা হত্যার প্রতিবাদ সভায় ছাত্রলীগের হামলা
- প্রীতির নগ্ন ভিডিওটি দেখুন
- বিয়ের রাতে...
- ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রীকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত করায় শিক্ষিকার অপসারণ দাবি
- ঠাকুরগাঁওয়ে সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা খুনের মুলঘাতক সজিব দত্ত গ্রেফতার
- যে কারণে আত্মহত্যা করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সুচিত্রা
- ফাঁস হয়ে গেল সুচিত্রার আত্নহত্যার কারণ
- বয়স্ক নারীর প্রতি যে কারণে আকৃষ্ট তরুণরা